রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন করেন উপাচার্য। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে জোহর নামাজের পর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরে নানাবিধ সীমাবদ্ধতায় হয়তো কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। তবে সমস্যা যাই থাকুক নিয়মের ভেতরে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে মাস্টার প্লান করা হচ্ছে।
২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষক নিয়ে রংপুর শহরের ধাপ লালকুঠি এলাকায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর শহরের পার্কের মাড়ে ৭৫ একরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলছে। নতুন করে চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন আরো একটি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। এছাড়া উচ্চতর গবেষণার জন্য রয়েছে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। মোট শিক্ষক রয়েছেন ১৮১ জন। শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় সাড়ে আট হাজার। নির্মাণাধীন একটি ছাত্রী হলসহ মোট চারটি আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন, চারটি একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, মসজিদ ক্যাফেটেরিয়া ভবনসহ আবাসিক স্থাপনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম