২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:০১

বিএসএমএমইউ’তে বিশ্ব এমডিএস সচেতনতা দিবস উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক

বিএসএমএমইউ’তে বিশ্ব এমডিএস সচেতনতা দিবস উদযাপন

‘আপনার ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মত এবারও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব এমডিএস সচেতনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজী বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিন সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম একটি সচেতনতামূলক র‌্যালির উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে এমডিএস রোগ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনার এর আয়োজন করা হয়।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হেমাটোলজী বিভাগের সহোযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুজ্জামান খান।

হেমাটোলজী বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মারুফ রেজা কবির এবং ডা. স্বরূপ চন্দ্র পোদ্দার বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হেমাটোলজী বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মিলি দে। প্যানেল অফ এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেমাটোলজী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস এবং অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম এমডিএস রোগীদের রেজিস্ট্রি তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন। হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ মায়েলোডিস্পলাস্টিক সিন্ড্রোম চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষার সুবিধাদি সহজলভ্য হবে এবং এ রোগের বিশ্বমানের চিকিৎসা দেশেই নিশ্চিত হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এমডিএস রক্তের একটি রোগ। যেখানে রক্তের উপাদানসমূহের মধ্যে এক বা একাধিক উপাদান কমে যায়। সময়ের সাথে এমডিএস থেকে রক্তের ক্যান্সার একিউট মায়লয়েড লিউকেমিয়াতে রূপান্তরিত হতে পারে। মায়েলোডিস্পলাস্টিক সিনড্রোম বা এমডিএস রোগে জীনগত পরিবর্তনের কারণে রক্ত তৈরি প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন, হোয়াইট ব্লাড সেল এবং প্লেটলেট এগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক এর পরিমাণ কমে যায় এবং কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। বয়সের সাথে এ রোগের আধিক্য দেখা যায়।

দেখা গেছে ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে লাখে ৭৫ জন পর্যন্ত এ রোগে ভুগে থাকতে পারেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে পৃথিবী জুড়েই মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। তাই এ রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এ রোগে আক্রান্তদের রক্তস্বল্পতা থাকতে পারে যার কারণে বারবার রক্ত পরিসঞ্চালন প্রয়োজন হতে পারে। হোয়াইট ব্লাড সেল কমে গেলে বা কার্যক্ষমতা হ্রাস পেলে বারবার ইনফেকশন হতে পারে। প্লেটলেট কমে গেলে বা কার্যক্ষমতা কমে গেলে রক্তপাত হতে পারে। সাধারণত সিবিসি পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তের উপাদান কমে যাবার প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর