ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১২ শিক্ষার্থীকে কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় হেফাজতে নিয়ে তিন দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে পুরান ঢাকার ধূপখোলা থেকে তাদের গ্রেফতারের পর দুপুরে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক বিল্লাল হোসাইন জনি আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে পূর্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গেন্ডারিয়া থানার ১৬বি/১ দ্বীননাথ সেন রোডস্থ বিল্ডিংয়ের ৩য় তলার একটি ফ্লাটের মেস বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একাধিক নিষিদ্ধ বই, শিবির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। ওই অভিযানে ডিএমপি’র কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শারমিনা আলম, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর নাহিদুল ইসলামসহ প্রায় ২০ জনের একটি টিম অংশগ্রহণ করে।
গ্রেফতার হওয়া ১২ শিক্ষার্থী হলেন- ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সংগীত বিভাগের আল-মামুন রিপন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের লোক-প্রশাসন বিভাগের মেহেদী হাসান (মাহদী), ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান ও ওবাইদুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আবদুর রহমান (অলি), ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রওসন উল ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের শ্রাবন ইসলাম রাহাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান।
এদের মধ্যে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (মাহাদী) এবার আসন্ন ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনে দপ্তর সম্পাদক পদে লড়ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, কেউ নির্দোষ হলে যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার করা না হয়।’
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত