চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রী যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার আদালত এই আদেশ দেন।
হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- চবির ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিম (২৩), নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল আবছার বাবু (২২), হাটহাজারী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. নুর হোসেন শাওন (২২) ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাসুদ রানা মাসুদ (২২)।
এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ চবি ক্যাম্পাসে ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী মো. আজিমসহ চারজনকে গ্রেফতারের তথ্য জানান। তিনি জানান, ইতিহাস বিভাগের ছাত্র আজিমের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটে। তার বাসাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায়। আজিম ক্যাম্পাস এলাকায় একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। তার নেতৃত্বে ছয়জন দুটি মোটরসাইকেলে এই ঘটনা ঘটায়। আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারও করেছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে আজিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে বাকি ৫ জনের নাম পাওয়া যায়। ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দুটি ছিল সাইফুল ও শাওনের।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই রাতে সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা থেকে নিজ হলে ফিরছিলেন ওই ছাত্রী। আজিম ও তার গ্রুপ চবি এলাকায় রাতে আড্ডা দিচ্ছিল। ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার ছেলে বন্ধুকে দেখে কাছে গিয়ে তারা প্রথমে ছাত্রী ও তার ছেলে বন্ধুকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করে চাঁদা দাবি করে। তাদের দুজনকে আটকে রেখে মারধর করে অভিযুক্তরা। মারধরের একপর্যায়ে ছাত্রীটিকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এরপর তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে ছেড়ে দেয়। র্যাব ভিডিও ধারণ করা মোবাইল তিনটি জব্দ করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
