বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) চার বছর মেয়াদি অনার্স কোর্স ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার’-এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এর প্রতিবাদে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ মো. সাজিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. সালাহ উদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূর হোসাইন মিয়া, অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম, অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এম. আসাদ-উদ-দৌলা, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আলমগীর, ডা. ঋত্বিক দেব অপু, কৃষিবিদ আশিকুর রহমান আশিক, কৃষিবিদ মো. এমাদুল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা জানান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশেষ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়, যার মান অত্যন্ত নিম্ন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসে দুই দিন অনলাইনে ক্লাস হয়। এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন এগ্রিকালচার (বিএসসিএজি)’ ডিগ্রি প্রদান করা হলে গ্রাজুয়েটদের মানও অত্যন্ত নিম্ন হবে।
বক্তারা আরও বলেন, কৃষি সম্পূর্ণ প্রায়োগিক বিষয়। শিক্ষার্থীদের মাঠে হাতে কলমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে শিক্ষাদান করতে হয়। সুতরাং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্স চালু হলে কৃষিবিদদের মান মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হবে। কৃষিবিদ গ্রাজুয়েট বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে, বাংলাদেশে আরও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। দরকার হলে বর্তমানে যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে সেখানে সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে আরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যেতে পারে। বক্তারা অবিলম্বে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিতে অনার্স কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
