ইডেন মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে মানসিক নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে দাবি করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্ট্যাচার্য।
তিনি বলেন, “সে আমার শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে কোনও শিক্ষকই খারাপ আচরণ করেননি। আমরা শুধু ইডেন কলেজকে নিয়ে তার মন্তব্যের ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছি। কিন্তু সে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।”
মঙ্গলবার গণমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্ট্যাচার্য।
তিনি বলেন, সোমবার ইডেন মহিলা কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ছিল। ওই ছাত্রী তার বিভাগে সার্টিফিকেট নিতে আসার পর বিভাগীয় প্রধান এখানে নিয়ে আসেন। সেখানে ইডেন মহিলা কলেজকে নিয়ে তার বক্তব্যের ব্যাপারে আমরা জানতে চাই। মিটিংয়ে উপস্থিত বিভাগীয় প্রধানরাও তার কাছে জানতে চেয়েছেন এসব বক্তব্যের যথেষ্ট প্রমাণ বা কোনও ভিত্তি আছে কি-না। সন্তোষজনক কোনও জবাব সে দিতে পারেনি। পরে তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে স্থানীয় অভিভাবক এসে তাকে নিয়ে যায়। সে এই বিষয়টিকেই রঙ মেখে তার মনে যা এসেছে তাই বলেছে।”
ছয় ঘণ্টা অধ্যক্ষের কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে- এমন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, “এটা তো অবশ্যই না। এমন করার প্রশ্নই আসে না। আমাদের এখানে সব জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে আমরা স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছি। আনুমানিক ৫২ মিনিটের মতো কথা হয়েছে। শিক্ষক হিসেবে ছাত্রীর সঙ্গে আমরা তো কথা বলতেই পারি।”
ওই শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কোনও বিষয়ও চোখে পড়েনি উল্লেখ করে অধ্যক্ষ বলেন, “ও আমাদের শিক্ষার্থী। আমরা যখনই জেনেছি ও গণস্বাস্থ্যে ভর্তি হয়েছে সঙ্গে সঙ্গেই কলেজ থেকে ওর বিভাগের শিক্ষক ও হলের একজন তত্ত্বাবধায়ককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ও সম্পূর্ণ সুস্থভাবে কলেজ থেকে বেরিয়েছে। তার খারাপ লাগছে বা অসুস্থতার কোনও বিষয়ও আমাদের বলেনি। তার অভিভাবক সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে গেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আবাসিক হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারে না তার এমন মন্তব্য সত্য নয়। এখানে অসংখ্য আবাসিক শিক্ষার্থী হলে নিরাপদে ও নিরাপত্তার সাথে অবস্থান করছে। তারা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে প্রতিষ্ঠানের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় ইডেন মহিলা কলেজের মার্কেটিং বিভাগের নুসরাত জাহান কেয়া নামের এক অনাবাসিক ছাত্রী অভিযোগ করেন তাকে ছয় ঘণ্টা অধ্যক্ষের রুমে আটকে মানসিক নির্যাতনের করা হয়েছে। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম