ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। রবিবার বিকালে সাংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে গুচ্ছ না যাওয়ার বিষয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, সম্প্রতি ২২ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গুচ্ছ ভর্তি কমিটি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করে তুলেছে। এরই ফলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির পক্ষে মতামত প্রদান করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতাসমূহ নিরসনের আশ্বাস দেয়। ফলে শর্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে রাজি হয়েছিল শিক্ষক সমিতি। তবে ভোগান্তি আরো বহুগুণ বেড়েছে। ঊচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার বিষয়ে জনমনে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে এটা কখনো চাই না। গুচ্ছের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে কিনা সেটার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখনও পর্যন্ত আামাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। উপাচার্য স্যারও শিক্ষকদের পক্ষে আছেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভর্তি কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুই সেমিস্টার শেষ করেছে। ভর্তির আগেই দেড় বছর চলে যাচ্ছে। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা প্রমাণ করে এটি মারাত্মক সমস্যা। যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দ্বিগুণ ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। তাই এই প্রক্রিয়ায় আমরা যেতে চাই না।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল