জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এসময়, ভর্তি ফর্মের ফি কমানোরও দাবিও জানান তারা। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে ভর্তি ফরমের ফি কমানোর জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, এই প্রশাসন প্রতিবছর ভর্তির ফর্মের দাম বৃদ্ধি করে। সারা দেশে এখন মন্দা, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি। এই অবস্থায় যদি ফর্মের দাম বৃদ্ধি করা হয় তাহলে একজন দিনমজুরের সন্তানের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় শিফট বৈষম্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটা অসম প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেয়া হয়। এ অস্বচ্ছতা থেকে আমরা ভর্তি কার্যক্রমকে মুক্তি দিতে চাই৷ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করতে না পারলেও সময়মত দক্ষতার সাথে ভর্তি পরীক্ষার ফরমের ফি বাড়িয়ে দেয়৷ এবং এক্ষেত্রে তাদের যথেষ্ট মেধা রয়েছে। অথচ ভর্তি পরীক্ষার সময় শিফট ভিত্তিক বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে তাদের মেধা কাজ করেনা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাদের মেধা কাজ করেনা। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই যেন তারা ভর্তি ফরমের ফি না বাড়ায় এবং শিফট পদ্ধতি বাতিল করে।
এসময় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শৌমিক বাগচী বলেন, ভর্তি পরীক্ষার মতো একটা প্রক্রিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অর্থ উপার্জনের মহোৎসবে পরিণত করেছে৷ অর্থাৎ যার টাকা থাকবে সে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে, নইলে পাবেনা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষা বাদ দিয়ে একের পর এক সহশিক্ষা কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে, কেউ ভূমিদস্যুতার সাথে জড়িয়ে পড়ছেন, কেউ ছিনতাই-লুটপাট করছেন, কেউ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। এভাবে চলতে থাকলে সেটার ভবিষ্যত কি হবে তা আর বলা যায় না। কারণ সেখানে শুধু অন্ধকারই আছে৷ তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আপনারা শিক্ষার ধারায় ফিরে আসুন, অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রম থেকে বের হয়ে আসুন।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এতে ভর্তিচ্ছুদের মেধার সমমূল্যায়ন হয়না বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ