২৯ মে, ২০২৩ ১৮:৪৭

রাবি ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, উপস্থিতি ৮৬ শতাংশ

রাবি প্রতিনিধি

রাবি ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, উপস্থিতি ৮৬ শতাংশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই ইউনিটে উপস্থিতির হার ৮৬ শতাংশ।

সোমবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

তিনি জানান, চার শিফটে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই ইউনিটে উপস্থিত ছিল ৬৩ হাজার ৮৬৯ জন। উপস্থিতির শতকরা হার ৮৬ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তিন ইউনিটে গড় আবেদন পড়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪টি। সি ইউনিটে কোটাসহ আবেদনকারী ৭৪ হাজার ২৯৬ জন। সিট রয়েছে ১ হাজার ৫৯৪ টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনে লড়ছেন ৪৮ জন। প্রতিদিন ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নত্তোরে শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ণ করা হবে। প্রতি ৪ ভুল উত্তরে ১ নম্বর কাটা যাবে। ন্যূনতম পাশ নম্বর ৪০। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সমানে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ও ভোগান্তি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন এবং পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবছর পরীক্ষায় যেকোন ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে তৎপর রয়েছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, আইসিটি সেন্টার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভর্তিচ্ছুদের রাত্রিযাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অভিভাবকদের জন্য দুটি আবাসিক ভবনের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ১১টি সুসজ্জিত বসার ব্যবস্থা, ১১টি তথ্য সহায়তা কেন্দ্র, ১০ দৃশ্যমান ব্যানার নির্দেশিকা, ১২টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, ৪টি এম্বুলেন্স ও মেডিকেল টিম ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কাজ করেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। ভর্তিচ্ছু নাফিসা খাতুন জানান, গতকাল রাত ১২টার দিকে মায়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসি। রাজশাহী তেমন কেউ পরিচিত নেই। তাই থাকার ব্যবস্থাও হয়নি। ক্যাম্পাসে এসে বিষয়টি জানালে আবাসিক হলে থাকার ব্যবস্থা হয়। মা-ও এক আবাসিক ভবনে থাকার সুযোগ পান। ক্যাম্পাসে সবাই অনেক সহযোগিতা পরায়ণ ছিলেন। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

অভিভাবকেরা জানান, ক্যাম্পাসের মধ্যে সুন্দর বসার ব্যবস্থাটা খুবই ভাল লেগেছে। কেননা সচরাচর অন্যন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনটা দেখা যায় না। এমনকি প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনও পানিও দিয়েছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত গাছপালা থাকায় তীব্র গরমেও তেমন সমস্যা হয়নি। তবে কিছু জায়গায় অতিরিক্ত পরিবহন ও আবাসন ভাড়ায় বিলম্বনার কথা জানান তারা। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। পরিবহন কিংবা বাসা ভাড়া নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু কেউ বেশি নিয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। তবে এমনটি প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর