জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তিন দফা দাবিতে সপ্তম দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। এছাড়া, সোমবার তার দাবিগুলোর সাথে সংহতি ও অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী ও প্রগতিশীল শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (৬ই জুন) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অফিসের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রত্যয়। এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ওই হলের খেলার মাঠে এ অনশন শুরু করেন তিনি।
তার দাবিগুলো হল- আবাসিক হল থেকে গণরুম উচ্ছেদ, মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল ছাত্রদের অবিলম্বে হল ত্যাগ, গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আবাসন নিশ্চিত করা।অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্যয় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অনশনের ৭ দিন পার হয়ে গেছে। অথচ, প্রশাসন দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে এখন পর্যন্ত 'দৃশ্যমান' কিছু করেনি। তারা ৭ দিনে চাইলে ৭ জন অছাত্রকে বের করতে পারতো, কিন্তু করেনি। এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে আমি জীবন দিবো তবুও অনশন ভাঙছি না।
এদিকে প্রত্যয়ের শারীরিক অবনতি চরমে পৌঁছেছে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. রিজওয়ানুর রহমান। জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যয়কে হাসপাতালে ভর্তি না করালে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দ্রুত সময়ে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে। অছাত্রদের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। তবে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রত্যয়কে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। কিন্তু তাকে রাজি করানো যাচ্ছে না।
সার্বিক বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল