চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, আমাদেরকে আমাদের বিশ্বগ্রাম রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ দূষণ অ্যাটম বোমার থেকেও ভয়াবহ। এটি আমাদের পরিবেশকে ব্যাপকভাবে দূষিত করছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পলিমারের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। সচেতনতা ছাড়া এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে, প্লাস্টিক আমাদের শত্রু নয়, প্লাস্টিকের দূষণ পরিবেশের শত্রু।
চবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস (ইফেস্কু) আয়োজিত 'প্লাস্টিক দূষণের সমাধান' শীর্ষক সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইফেস্কু অধ্যাপক ড. খালেদ মিজবাহুজ্জামান।
মুখ্য আলোচক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান বলেন, খাদ্য চক্রের অংশ হিসেবে আমরা প্লাস্টিক খাচ্ছি, প্লাস্টিক পান করছি। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসে গ্রহণও করছি। সমুদ্র ও পাহাড়েও প্লাস্টিকের আশঙ্কাজনক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এমনকি অ্যাভারেস্টের চূড়ায়ও প্লাস্টিক পৌঁছে গেছে। এই প্লাস্টিকের কণা একসময় আমাদের খাদ্য ও পানীয়ে যোগ হচ্ছে। যা আমাদের জন্য ভীতিকর।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, পরিবেশের সাথে আমাদের সবার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই আমাদের সবার দায়বদ্ধতা রয়েছে এটিকে রক্ষার ক্ষেত্রে। আমরা সব দিক থেকে প্লাস্টিকের মধ্যে বসে আছি। প্লাস্টিক আমাদের খেয়ে ফেলছে, গ্রাস করে ফেলছে।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সচিব ও ইফেস্কু অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মমিনুর রশিদ আমিন, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।
এর আগে সকাল ১০টায় আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে র্যালি এবং পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অতিথিরা। এছাড়া দুপুর ১২টায় ইফেস্কু প্রাঙ্গণে থিমেটিক প্ল্যাকার্ড প্রতিযোগিতা ও সেমিনার শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম