ঢাকার হাসপাতাল থেকে অসুস্থ এক শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে আনতে অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি করাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান দুই ফটক ও ফার্মেসির কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২৩ শে জুন) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময়, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরে আড়াই ঘণ্টা শেষে তালা খুলে দেন নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও একাধিক চিকিৎসকসূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার হাসপাতাল থেকে রোগীকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে অ্যাম্বুলেন্স চান ভাসানী হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় চিকিৎসাকেন্দ্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি করলে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তালা লাগিয়ে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মওলানা ভাসানী হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী নাহিদুল হক বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন হলের এক শিক্ষার্থীকে আনতে বেলা তিনটার দিকে চিকিৎসাকেন্দ্রে যোগাযোগ করেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। তখন চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা তাদের অ্যাম্বুলেন্সের কাগজপত্র না থাকায় ঢাকায় যেতে পারবে না বলে জানায়। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে বিষয়টি জানানো হয়। তারা অনুমতি দিলেও চিকিৎসাকেন্দ্র অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি করে। অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা নাকি ঢাকায় যেতে চান না বলে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দেন।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা শামসুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কোনো গাড়ির কাগজপত্র নেই। প্রশাসনকে এব্যাপারে কয়েক দফায় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কাগজপত্র না থাকায় ঢাকায় মাঝেমধ্যে ট্রাফিক পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সগুলো ধরে চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। চালকদের জরিমানা করলে সেই টাকা প্রশাসন দেয় না। এ জন্য চালকেরা ঢাকায় যেতে চান না। আজ ভাসানী হলের শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্স নিতে চাইলে চালকেরা যেতে রাজি হননি। চিকিৎসাকেন্দ্রে তালা ঝোলানোর বিষয়টি প্রশাসন ছাত্রলীগের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমি সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এটা সমাধানের চেষ্টা করছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন