চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। টানা চলবে এ আন্দোলন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য-উপ উপাচার্য ব্যাপক অনিয়ম ও অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের একটা মূল দাবি ছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না এখনো নেই। কিন্তু একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেখানে অবশ্যই শিক্ষকদের প্রতিনিধি থাকার কথা। আমরা দেখেছি ১৯৭৩ এর আইন লঙ্ঘন করে এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করে আসছি। আমাদের শিক্ষক সমিতির একটা বড় চাওয়া কোনোভাবে, কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যাতে প্রশাসনিক জাঁতাকলে নিষ্পেষিত না হয়।
তিনি আরওও বলেন, উপাচার্য আমাদের মৌখিকভাবে আশ্বাস দেন, কিন্তু পরে তা আর বাস্তবায়ন করেন না। আপনারা দেখেছেন উপাচার্য আমাদের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, পূর্বে আমরা অনেক চায়ের আমন্ত্রণে গিয়ে আমাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছি। কিন্তু উপাচার্য ও তার সাথে যারা থাকেন তারা বলেন যে, আমি মেনে নিলাম কিন্তু দেখা যায় উনি পরে দ্বিগুণ শক্তিতে অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভিসি-প্রভিসির বিকল্প আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভিসি-প্রভিসি নির্ধারণ করা আমাদের শিক্ষক সমিতির কাজ নয়। এটি সব দিক বিবেচনা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। সেক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এ পদের জন্য পছন্দের কোনো প্রার্থী নেই। সেটা নিয়ে আমরা চিন্তাও করতে চাই না। আমাদের চাওয়া হলো যিনিই উপাচার্য হোক না কেন, আইনের শাসনটাকে যেন ধরে রাখেন এবং দুর্নীতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কার্যক্রমের সাথে যুক্ত না হন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই