৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:২৩

চার কলেজের রাবিতে অধিভুক্তিতে লাভ না ক্ষতি?

রাবি প্রতিনিধি

চার কলেজের রাবিতে অধিভুক্তিতে লাভ না ক্ষতি?

রাজশাহী জেলার চার সরকারি কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধিভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে কলেজের শিক্ষার মান বৃদ্ধির ধারণা করা হলেও অনেকে সেশনজটসহ নানা জটিলতার কথা বলছেন। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য সচিব ড. ফেরদৌস জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'অধিভুক্ত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা সেট-আপ থাকবে। তারা একাডেমিক মান উন্নয়নে কাজ করবে। সেক্ষেত্রে মানসম্মত উপায়ে পরীক্ষা পরিচালনা ও খাতা মূল্যায়নে ভূমিকা রাখবে। গ্রামগঞ্জের অধিকাংশ কলেজে উচ্চশিক্ষার মান খুবই হতাশাজনক। এই সংকট নিরসনে দেশের শতবর্ষী কলেজগুলোতে মানসম্মত উপায়ে উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতেই এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে, সেহেতু জটিলতা থাকবে না বলে মনে করি।'

এর আগে, গত ৪ এপ্রিল রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী নিউ ডিগ্রী গভঃ কলেজ, রাজশাহী গভঃ সিটি কলেজ ও রাজশাহী গভঃ মহিলা কলেজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৬ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে 'হঠকারিতা' অ্যখ্যা দিয়ে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের মতো ভোগান্তির আশঙ্কা করে অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের একাংশ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ড. এ এম শহিদুল আলম বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আগামী ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সভার পর একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারব। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে মন্ত্রণালয়েও প্রতিবেদনে পাঠানো হবে।'

জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলী বলেন, 'বিগত সময়েও এসব কলেজ ঢাকা, রাজশাহী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্যই এটা হয়েছে। কলেজগুলোর সিলেবাস তৈরি, ভর্তি, ফলাফলসহ একাডেমিক কিছু কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে খুব শিগগির পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। কলেজ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যেন সৃষ্টি না হয়ে সেটা বিষয়ে আমাদের যথাযথ মতামত থাকবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও কলেজ পরিদর্শক শাখা আছে। আমাদের অবকাঠামো আছে, অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি ভালো কিছু হবে। ঈদের পর আমরা বসবো। শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও উচ্চশিক্ষার মান অক্ষুণ্ণ থাকে এমন পদক্ষেপই নেয়া হবে।'


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর