স্থগিত করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল-কৃত হল উদ্ধার আন্দোলনের কর্মসূচি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় (সোমবার দিবাগত রাতে) এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নূর নবী।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছি হল আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৫ আগস্ট সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ টোকাইদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তারা আমাদের হল আন্দোলনের ভিতরে ঢুকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে।’
সমন্বয়ক নূর নবী আরও বলেন, ‘আমাদের দখলকৃত বেশিরভাগ হলে সংখ্যালঘুরা বসবাস করেন এবং পুরান ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করেন। এতে করে সুযোগ সন্ধানীরা পুরো আন্দোলনকে বিশৃঙ্খল করে দিতে চক্রান্ত করছে খবর পেয়েছি। এইজন্য আমরা আপাতত হল উদ্ধার আন্দোলন স্থগিত করেছি।’
ভিডিও বার্তায় আরেক সমন্বয়ক আবু বকর বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষার্থীদের হল আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ফায়দা লুটার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি, হল আন্দোলনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে দাঙ্গা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা আছে তাদের। কাজে নামানো হতে পারে কোটা আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের হয়ে কাজ করা অস্ত্রধারীদের।’
এছাড়া আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদেরও। কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জঙ্গী বলে আখ্যায়িত করা শিক্ষক-কর্মকর্তাও ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট দিয়ে ক্যাম্পাসে আসার ঘোষণা দিচ্ছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। হল উদ্ধার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর কোনো পক্ষকে কোনভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ না দেয়ার দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
এর আগে, সোমবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখলকৃত ১২টি হল পুনরুদ্ধার করার ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তারা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হল উদ্ধার আন্দোলনে নামবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক