রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মামুন জিয়াদ ও শহিদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলামসহ ছয়জন আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উভয় হলের প্রাধ্যক্ষরা।
বঙ্গবন্ধু হল প্রাধ্যক্ষ বলেন, আমার মনে হয়েছে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হলের শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া সঠিকভাবে পূরণ করতে পারিনি। তাই পদত্যাগ করেছি।
আরেক প্রাধ্যক্ষ ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, গতদিনই আমার পদত্যাগের কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সেটা করিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে চারজন আবাসিক শিক্ষকসহ পদত্যাগ করেছি।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু হলে ৪৯৬ টা সিটের মধ্যে শতাধিক সিটে অবৈধভাবে অবস্থান করত শিক্ষার্থীরা। দখলকৃত অধিকাংশ সিটই ছিল ছাত্রলীগের দখলে। সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বহু বছর ধরে কক্ষ দখল নিয়ে অবস্থান করতেন। এতে বছরে লক্ষাধিক টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ত হল প্রশাসন। গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলন চলাকালে এই হলে ছাত্রলীগের দখলকৃত অন্তত ২২টি কক্ষ ভাঙচুর হয়। এতে সভাপতি ও সম্পাদক সহ নেতাদের কক্ষ থেকে পিস্তল সহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়। ১৭ জুলাই শহিদ হবিবুর হলে তল্লাশি চালায় আন্দোলনকারীরা। ছাত্রলীগ নেতা সোহান ও মিনহাজের কক্ষ থেকে অস্ত্র পাওয়া যায়। এই হলেও বহু কক্ষ দখলে নিয়ে অবৈধভাবে অবস্থান করত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের সিট বরাদ্দ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করত ছাত্রলীগ। আবাসিকতা পেলেও অনেক সিট ছাত্রলীগ দখলে রাখত। প্রাধ্যক্ষ কোন হস্তক্ষেপ করত না। ছাত্রলীগের একচ্ছত্র দাপটে অনেকক্ষেত্রে নিরুপায়ও ছিলেন তারা।
শাহ মখদুম হলে অস্ত্র উদ্ধার
শাহ মখদুম হলে ছাত্রলীগের কক্ষ থেকে রামদাসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। হল প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।
প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, ছাত্রলীগের দখলকৃত কক্ষগুলো থেকে এই অস্ত্র পাওয়া গেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক তারা কক্ষগুলো দখল নিয়ে থাকত। অধিকাংশই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নয়। ছাত্রলীগ নেতা ইলাহির কক্ষে বেশি অস্ত্র পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল