রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং ফাইলে স্বাক্ষরের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুইজন নতুন প্রো-ভিসির পদায়নের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারিতে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ভিসি, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা এবং ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইলকে প্রো-ভিসি নিয়োগে সম্মতি দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।
পরদিন শুধু উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও দুই প্রো-ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেনি মন্ত্রণালয়।
নিয়োগ আটকে থাকার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আমার কাছে নির্দেশ এলে আমি সেটা পালন করি। যাদের নিয়োগের অনুমোদন আমার কাছে এসেছে তাদের প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। আমার কাছে নির্দেশ এলে জানিয়ে দেব।
নিয়োগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়া অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা বলেন, নিয়োগের বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেটা গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। এখন প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করি শিগগিরই পেয়ে যাব।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, প্রজ্ঞাপনটি দ্রুততম সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে জারি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। শিক্ষা ও গবেষণায় অধিক অবদানের জন্য সরকার আমাকে সুযোগ করে দেবে- সেই প্রত্যাশা রাখছি।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি পক্ষের বিরোধিতা ও আগের দুই প্রো-ভিসির (অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ও অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার) পদত্যাগ না করায় প্রজ্ঞাপন জারিতে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। তবে কী কারণে ওই শিক্ষকরা বিরোধিতা করছেন, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। অদৃশ্য শক্তির ইশারা ও প্রভাব বিস্তারে বিষয়টি আটকে আছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।