বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কার্যকলাপের ন্যায়বিচার এবং সত্য সংরক্ষণে ‘শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ ও ‘আইনি সহায়তা সেল’ নামে দুটি সেল গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বুধবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রলম্বিত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও অন্যান্য বিরোধী মতের সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আদিম যুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত নির্যাতনের মাধ্যমে আইন ও মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে। একইসাথে পতিত ফ্যাসিবাদী এই শক্তি বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে চরমভাবে দলীয়করণ করে এইসব ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়াকেও এগিয়ে নিতে দেয়নি। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই সকল শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনাবলীর বিষয়ে ন্যায়বিচার ও সত্য ইতিহাস সংরক্ষণের তাগিদে একটি ‘শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেল’ এবং একটি ‘আইনি সহায়তা সেল’ গঠন করেছে।
শিক্ষার্থী নির্যাতন বিষয়ক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ সেলে থাকছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল, মনজুরুল আলম রিয়াদ, খোরশেদ আলম সোহেল, আরিফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।
আইনি সহায়তা সেলে থাকছেন- সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, এইচ এম জাহিদুল ইসলাম, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম হিমেল, মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী, এস এম সাইফ কাদের রুবাব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই দুটি সেলের সদস্যরা ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া বিরোধী মত ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।
এই বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের জন্য হলে হলে টর্চার সেল গঠন করেছিলো এবং সেখানে প্রতিনিয়ত মুক্ত মতকে বাধাগ্রস্ত করতে ও বিরোধী মত দমনে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে চরম মানবিধিকার লঙ্ঘন করেছে। সেই সকল ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই সেল গঠন করা হয়েছে। একই সাথে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এই সকল নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে জাতির সামনে উন্মুক্ত করা হবে যাতে ভবিষ্যতে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নূন্যতম সুযোগ কেউ না পাই।
বিডি প্রতিদিন/একেএ