বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের থিম ধারণ করে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের র্যালি, ঘোষণা ফলক পুনঃস্থাপন, নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২৪ পালিত হয়।
রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে স্মরণ করে ‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’ স্লোগানকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবারের দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবসের শুরুতে সকাল সাড়ে আটটায় জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
এরপরে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি বের হয়। র্যালিটি পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক, জর্জ কোর্ট, রায় সাহেব বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপন করা হয়। ১১টা ১৫ মিনিটে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৪’ প্রদর্শনী এবং ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২০২৪’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য।
এ ছাড়া ১১টা ৪০ মিনিটে নবীন শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন এবং সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান প্রভার সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবিধ সমস্যা থাকার পরও একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যাবলী গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি, যার ফলে আমরা অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে আছি। এসব নানাবিধ চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
দুপুর দেড়টায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকালে জুলাই-২৪ বিপ্লবের থিমকে ধারণ করে সংগীত বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই