চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ প্রজ্ঞাপনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সোমবার সকাল ১১টা থেকে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন তারা। রাত সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ২৫ জন ৩৫ প্রত্যাশী অনশনে বসেছে।
এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট নো এজ লিমিট’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ, এবার চাই প্রজ্ঞাপন’, ‘৩২-৩৩ বুঝি না, ৩৫ ছাড়া বুঝি না’, ‘২৪ এর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত সাড়ে সাতটার দিকেও তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত দেখে জানতে চাইলে সমন্বয় পরিষদের অন্যতম সংগঠক মো. হারুন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সরকারের গঠিত কমিটি বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার। আমরা গত রবিবার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। আমরা আর রাস্তায় থাকতে চাই না, আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা না হচ্ছে, আমরা শাহবাগ ছাড়ছি না। সকাল ১১টা থেকে অবস্থা কর্মসূচি চলছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ জন ৩৫ প্রত্যাশী অনশনে বসেছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরালো হলে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি সুপারিশ অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীদের ৩৭ বছর।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন