‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ’ গবেষণা সিরিজের ফল প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। বুধবার ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফুলার রোড মিলনায়তনে এটি প্রকাশিত হয়।
গবেষণা সিরিজটি তৃতীয়বারের মতো প্রকাশ করা হলো; এর আগে ২০১০ ও ২০১৫ সালে আগের দুটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আয়োজনে সরকারি ও বেসরকারি খাত, দেশি-বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, মিডিয়া ও তরুণ জনগোষ্ঠীর ১২০ জনের বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
তরুণ বাংলাদেশিদের চাহিদা, দৃষ্টিভঙ্গি, ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ প্রতিবেদন শীর্ষক অর্থবহ গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করে। দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নীতি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে তরুণ জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি, চাহিদা ও প্রতিবন্ধকতা গভীরভাবে উপলব্ধি করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য।
ব্রিটিশ কাউন্সিল দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেলেন সিলভেস্টার তার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪-এর ফলাফল এবং সারসংক্ষেপ সবার সামনে উপস্থাপন করেন এমঅ্যান্ডসি সাচি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসেসের ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অব রিসার্চ আইবেক ইলিয়াসভ। এই গবেষণাতে নানা শ্রেণি ও পেশার ১৮-৩৫ বছর বয়সী মোট তিন হাজার ৮১ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
পরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কালচারাল এঙ্গেজমেন্টের রিসার্চ অ্যান্ড ইনসাইটস ডিরেক্টর ক্রিস্টিন উইলসনের পরিচালনায় ‘স্কিলস ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন জয়া চৌধুরী, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (শিক্ষা), এডিবি; সৈয়দ রাশেদ আল জায়েদ জশ, সিনিয়র ইকোনমিষ্ট, বিশ্বব্যাংক; শুভ্রা রায়, পরিচালক (সার্টিফিকেশন), ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনএসডিএ); এবং সৈয়দা আফজালুন নেসা, হেড অফ সাস্টেনিবিলিটি, এইচএসবিসি বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বেশকিছু কার্যকর সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- দক্ষতার ব্যবধান কমিয়ে আনতে ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ জোরদার করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ তৈরি করা, সুশাসন নিশ্চিতে তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, লিঙ্গ-সমতা নিশ্চিত করা এবং সামাজিক বৈষম্যগুলোকে চিহ্নিত করা।
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফল ও সুপারিশগুলো মূল অংশীজনদের জানাতে ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
বিডি প্রতিদিন/ইই