জয়পুরহাটের গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থীরা 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি পালন করছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
গত সাত দিন ধরে একাডেমিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে তারা এ কর্মসূচি অব্যহত রেখেছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ছয় দফা দাবি রয়েছে। এ দাবি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয়ভাবে সারা দেশের ১৩টি আইএইচটিতে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- স্বতন্ত্র পরিদপ্তর গঠন, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ১০ম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা) প্রদান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৩ সালের স্থগিত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু, গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের জন্য নবম গ্রেডের পদ সৃষ্টি, ঢাকা আইএইচটিকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট শিক্ষকদের নিয়োগবিধি ও অসংগতিপূর্ণ গ্রেড সংশোধন, মেডিকেল টেকনোলজি কাউন্সিল ও ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড গঠন ও বি ফার্মসহ সব অনুষদের বিএসসি ও এমএসসি কোর্স, স্কলারশিপসহ প্রশিক্ষণ ভাতা।
বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হাফিজ আল আসাদ বলেন, আমরা ফার্মেসী ও ল্যাব টেকনোলজি ডিপ্লোমাধারী বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা ৪৮ দিন ধরে আন্দোলন করছি। এতদিনেও আমাদের দাবি-দাওয়ার কথা সরকারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। একারণে আমরা গত রবিবার থেকে আইএইচটিতে কমপ্লিট শার্টডাউন কর্মসূচি পালন করছি।
বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব সারোয়ার কাওসার সমিক বলেন, আমরা কোন ‘আশ্বাস নয়, বাস্তবায়ন চাই’ নীতিতে অটল রয়েছি। আগামী ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি রয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ঘোষণা আসবে।
গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি খুব দ্রুত সমাধান হবে বলে তিনি আশাব্যক্ত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল