বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে’ বুধবার বিকেল ৪টায় দোয়া ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরু থেকেই ক্ষমতায় যারা এসেছে, তারা কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। বরং বিভিন্ন দেশের পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করেছে। ফলে নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায় হয়নি। সেই জায়গা থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাগিয়েছে। তাই যা কিছুই ঘটুক, বৈষম্যবিরোধী চেতনা জারি রাখতে হবে। যাতে বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে আর কখনো বৈষম্য ফিরে না আসে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পুনর্গঠনে অবশ্যই কাজ করবো। সেজন্য সময়, শ্রমের সাথে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যদি সাম্য-সার্বভৌমত্ব চাই, তাহলে নিজেদের মধ্যে বিভেদ না করে একত্রিত থাকতে হবে। মান অভিমানে আলাদা হয়ে গেলে কখনো সুফল পাবো না। বিপ্লব আমাদের শোধরানোর জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। কাজেই দেশপ্রেমে বলিয়ান হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবেসে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনার শপথ নিতে হবে।
স্মরণ সভার শুরুতে সমন্বয়ক মইনুদ্দিন খান সিফাত, মো. জসিম উদ্দিন, নিঘাত রৌদ্র, মোহাম্মদ আলী ত্বোহা, আন্দোলনের দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ এবং আন্দোলন পরবর্তী নানা ঘটনাপ্রবাহ ও তার প্রেক্ষাপট আলোকপাত করেন। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আনিসুর রহমান, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসেন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবু সালেহ প্রমুখ। এসময় ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. শরাফত আলী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মজনুর রশিদ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. জীবন কৃষ্ণ মোদকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাদ আসর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল এবং বিকেলে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন