পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে জাকসু নির্বাচনের পূর্বে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের আয়োজন রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্ল্যাটফর্মটির জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম এ ঘোষণা দেন। এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরপর দু’টি পোস্টে একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে এ ঘোষণার পর ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাবি শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন।
এ বিষয়ে তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “বুধবার জাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি যেসকল শিক্ষক গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মতো আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তারা জাকসু নির্বাচনের যৌক্তিক দাবির ক্ষেত্রেও পাশে এসে একাত্মতা পোষণ করবেন। এ জায়গা থেকে জাকসু নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির নির্বাচনসহ সব নির্বাচন থেকে তারা সরে দাঁড়াবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল ঘাতক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বুকে গুলি চালানোর পরোক্ষভাবে হুকুম দিয়েছিল তাদের বিচার যেখানে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি সেক্ষেত্রে নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে আসার মাধ্যমে তাদের বৈধতা চলে আসবে। বুধবার যদি জাকসু নির্বাচনের কোনও রোডম্যাপ না দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে এ নির্বাচন সাধারণ শিক্ষার্থীরা রুখে দেবে।”
ফেসবুকের প্রথম পোস্টে তৌহিদ সিয়াম বলেন, “আগামীকালের জাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন রুখে দাও। আগে জাকসু পরে বাকিসব।”
অপর পোস্টে তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। বিগত আমলগুলোতে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার ছাত্র প্রতিনিধিত্ব তৈরি না করেই অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে। এবার আর তা হবে না। ছাত্র সংসদ (জাকসু) এর নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। আগে জাকসু পরে বাকিসব। কেউ শিক্ষার্থীদের মতের বাইরে গিয়ে জোরপূর্বক কিছু করতে চাইলে ফলাফল ভালো হবে না।”
অপরদিকে এমন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জাবি শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন লিখেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে অতীতের প্রশাসনসহ বর্তমান প্রশাসনকে কয়েকবার অনুরোধ করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একমত হয়ে আমি আজকেও উপাচার্য মহোদয়কে অনুরোধ করেছি জাকসু নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য। আমি আবারও আগামীকাল শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”
বিডি প্রতিদিন/একেএ