রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে ৩৩ শিক্ষার্থীকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন স্থায়ী বহিষ্কৃত হয়েছেন।
শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, র্যাগিং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা, ষড়যন্ত্র, ইন্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, ভয়ভীতি, হলে সিট বাণিজ্য এবং গণরুমের ছাত্রীদের জোরপূর্বক স্লোগান দিতে বাধ্য করা, হলের কক্ষের তালা ভেঙে কক্ষ দখল, গভীর রাতে ছাত্রীদের ঘুম থেকে উঠিয়ে মিটিং করা, শিক্ষার্থীদের ব্লাকমেইল করা, শিক্ষার্থীদের জিনিস চুরি, দুর্ব্যবহার করা, নেশাদ্রব্য সেবন করা, উচ্চস্বরে গান-বাজনা করে পড়ালেখা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো, রাতে নিজ কক্ষে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্রে তল্লাশি চালানো, হত্যার হুমকি প্রদান, শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন ও অত্যাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের ধরন ও মাত্রাভেদে ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
এতে ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার। এদের ছাত্রত্ব না থাকলে সনদ বাতিল। পাঁচজনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার, চারজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার, দুইজনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, একজনকে এক সেমিস্টার বহিষ্কারসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনের আবাসিকতা বাতিল ও পাঁচজনের মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে হলে অবস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। মুচলেকাদানকারী কোনো শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে এমন অপরাধে সম্পৃক্ত হলে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩৫তম সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই