প্রতিষ্ঠানিক সুবিধা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে চলমান শাটডাউনে স্থবির হয়ে পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। ক্লাস-পরীক্ষা ও দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাস ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন পেছানোয় নেই ভোটের আমেজ।
শিক্ষকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানিক সুবিধা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন চলবে।
ইউট্যাব বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া আন্দোলন চলবে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, টুকিটাকি চত্বর ও পরিবহন মার্কেটে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা খুবই কম। দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রশাসন ভবনে অবস্থান কর্মসূচি করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যুক্ত হয়েছেন শিক্ষকরাও। সকাল থেকে প্রার্থীদের প্রচারণাও দেখা যায়নি।
এর আগে, গতকাল চলমান শাটডাউনে আসন্ন ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করেছেন শিবির। তবে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রদল ও বামজোট।
সার্বিক বিষয়ে উপ-উপাচার্য ড ফরিদ খান বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে সংকট নিরসনে কাজ করছি। চলমান শাটডাউন বন্ধে আলোচনাও হয়েছে। সব সংকট কাটিয়ে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন যাতে হয়, সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত