সুনামগঞ্জ পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত মেয়র আইয়ুব বখত জগলুল মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি।
উন্নয়ন-পাগল হিসেব পরিচিত ছিলেন জগলুল। ভোরে অসুস্থবোধ করলে প্রথমে তাকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পান্থপথে বিআরবি স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জগলুলের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে সুনামগঞ্জ শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সমবেদনা জানাতে স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, রাজনৈতিক সহকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ছুটে আসছেন তার আরপিননগরের বাসায়। সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বার বেলা ২টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে তার মরদেহ নিয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন স্বজনরা। শুক্রবার বাদ জুমা সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১৯৯৭ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সারা দেশে চমক সৃষ্টি করেন। তিনি দলের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ছাত্র জীবনে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস ও ভিপির দায়িত্ব পালন করেন জগলুল।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে সক্রিয় ছিলেন জগলুল। তার এই ঘোষণার পর পুরো আসনজুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া পড়ে যায়। ইউনিয়নে ইউনিয়নে শুরু করেন গণসংযোগ। বিভিন্ন ইস্যুতে জেলা সদরে হাজারো নেতা-কর্মী নিয়ে বিশাল বিশাল শোডাউন করে আলোচনার জন্ম দেন।
দায়িত্ব পালনকালে পৌরসভার নানা উন্নয়ন করেছেন জগলুল। পৌরসভার জায়গা দখলে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য্য বর্ধন করেন। তার নিবিড় তদারকির কারণে কাজগুলোর গুণগত মান নিয়ে কারোর কোন প্রশ্ন ছিল না। সিন্ডিকেট মুক্ত পৌরসভার দুয়ার ছিল সকল মতপথের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। তার দুই মেয়াদে টেন্ডারবাজির কোন ঘটনাও ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা
