জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার রায়ের পরপরই সিলেটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদফা সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষে গুলি বিনিময়ে অন্তত দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় এক যুবককে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে অন্য পক্ষকে গুলি করতে দেখা গেছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে অস্ত্রধারী ওই যুবক ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার নাম মুনিম আহমদ। এসময় তার হাতে একটি একনলা বন্দুক দেখা গেছে। জানা গেছে, এই অস্ত্রটি তার নিজের নামে লাইসেন্স করা। ছাত্রদলকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলাকালে তিনি এই অস্ত্র নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুলিবিদ্ধ একজন হচ্ছেন জেলা ছাত্রদল নেতা সৈয়দ মোস্তফা কামরুল। অন্যজনের নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সিলেট জেলা পরিষদে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে আদালতপাড়ায় অবস্থান নেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রায় ঘোষণার পরপর বেলা আড়াইটার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পক্ষ অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় গুলিবিনিময়ও হয় পাল্টাপাল্টি। দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। এরমধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি জেলা ছাত্রদলের কর্মী মোস্তফা কামরুল। তার মাথায় গুলি লেগেছে। তিনি একটি বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে খালেদাকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সামসুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি মিছিল নগরীর হকার পয়েন্ট এলাকায় বেশ কয়েকটি ভাংচুর করেছে। এসময় তাদের সাথেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েকরাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। রাজপথে পুলিশ টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি গৌছুল হোসেনকে কল দেয়া হলে রিসিভ হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন