বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন তথা পহেলা বৈশাখেও থেমে নেই সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অবৈধ স্থাপনা, বিলবোর্ড ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে পহেলা বৈশাখেও চালিয়েছেন অভিযান। তবে রবিবার বিকেলে নগরীর আম্বরখানায় এই অভিযান চালাতে গিয়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। এতে নববর্ষের দিন বেড়াতে বের হওয়া লোকজনদের পোহাতে হয়েছে মারাত্মক দুর্ভোগ।
এই দুর্ভোগে পড়ে অনেক পথচারী ও রিকশাযাত্রীদের কিছুটা ক্ষুব্ধ হতেও দেখা গেছে। ‘মেয়র সাব আইজ (পহেলা বৈশাখের দিন) কাম না দেখাইলেও পারতা’ -এমন খেদোক্তিও শোনা গেছে অনেকের মুখে।
পহেলা বৈশাখের বিকেলে প্রতিবছরই নগরীতে ঢল নামে উৎসবপ্রেমী মানুষের। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ, মীরের ময়দানস্থ ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন লোকজন। বিমানবন্দর সড়কের চা বাগানগুলোতেও দর্শনার্থীদের ভিড় কম পরিলক্ষিত হয় না।
এবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। বিকেল থেকে নগরীতে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ে। কিন্তু বিকেলে হঠাৎ করে নগরীর আম্বরখানায় বুলডোজার লাগিয়ে অবৈধ স্থাপনা, বিলবোর্ড উচ্ছেদ শুরু করেন। আম্বরখানা সাপ্লাই রোডের (সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর বাসভবনের সামনে) ভাসমান সবজি ব্যবসায়ীদেরও এ সময় উচ্ছেদ শুরু করা হয়।
হঠাৎ করে বোলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ শুরু হওয়ায় আম্বরখানায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে আম্বরখানা-বিমানবন্দর, আম্বরখানা-সাপ্লাই, আম্বরখানা-সুবিদবাজার ও আম্বরখানা-চৌহাট্টা সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।
ছুটির দিনে মেয়রের এই কর্মতৎপরতা অনেকের কাছে প্রশংসা কুড়ালেও ওইসব রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজনকে ভৎর্সনা করতেও শোনা গেছে। পহেলা বৈশাখের উৎসবের দিন রাস্তা বন্ধ করে এমন অভিযানকে মেয়রের কাণ্ডজ্ঞানহীনতা বলেও অনেকে অভিহিত করেছেন।
পহেলা বৈশাখ এই অভিযান না চালিয়ে অন্য যেকোন দিন থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা যেত পারতো বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল, ২০১৯/মাহবুব