গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আল্লাহর দলের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর শাহপরান থানাধীন আরামবাগ এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ।
ঢাকা থেকে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি চৌকস দল সিলেটে এসে এ অভিযান পরিচালনা করে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহিদুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বগুড়া জেলার এরুলিয়া এলাকার বড় কুমিরা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান আকন্দের ছেলে মানিক আকন্দ ওরফে মেহেদী হাসান (৩২), নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর (২০), সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার থানাবাজারের মানিকপুর গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আলীর ছেলে রাসেল আহমদ (২৪), কুমিল্লা জেলার বিবির বাজার এলাকার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২০), সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ঈদগাহ বাজারের খাফনা গ্রামের মুক্তাদির মিয়ার ছেলে কামাল আহমদ (২৫), সুনামগঞ্জ সদরের আলহেরা এলাকার শাহপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তমি উদ্দিন সুমন (৩০), রাজশাহী জেলার বাগমাড়া এলাকার চেওখালি গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৯), সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকার হায়দরপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে জুয়েল আহমদ (২৪) ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার তুরস্তবাগ এলাকারম নলুয়া গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে মো. স্বপন আহমদ (২১)।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মানিক আকন্দ ওরফে মেহেদী হাসান আল্লাহর দলের সিলেট বিভাগীয় প্রধান, জহির উদ্দিন বাবর দাওয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত, রাসেল আহমদ সিলেট জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত, আবুল কালাম আজাদ শাহপরাণ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত, কামাল আহমদ সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায়, তমি উদ্দিন সুমন কোতোয়ালি থানা ও দক্ষিণ সুরমা এলাকায়, আশরাফুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলায়, জুয়েল আহমদ ও মো. স্বপন আহমদ সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার সদস্য হিসেবে দায়িত্বশীল ছিলেন।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা তাদের সাংগঠিক কার্যক্রমের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন