সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাণিজ্যকেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে থাকা এক 'পাগলী'র (মানুষিক প্রতিবন্ধী) গর্ভে ফুট ফুটে এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে। কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া পাগলির পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এমনকি কন্যা সন্তানের জন্মদাতাও রয়েছে অধরা। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির একটি টহলটিম বাদাঘাট বাজারে টহলের সময় মানুষিক প্রতিবন্ধীর চেচামেচি ও চিৎকার শুনতে পায়। পরে একটু এগিয়ে গিয়ে দেখে বাজারের পরিচিত একটি 'পাগলী' প্রসব ব্যাথায় চিৎকার করছে। পরে তারা দ্রুত বাজারের নারী পরিচ্ছন্ন কর্মী কুলসুমা বেগম তার সহকর্মী পুরুষ পরিচ্ছন্ন কর্মী হাফিজুর রহমানকে ডেকে এনে তাদের হেফাজতে দেয়। পরে তাদের হেফাজতে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে 'পাগলী' ফুটফুটে এক শিশু কন্যার জন্ম দেয়। বিকাল ৪টার দিকে বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির কর্তৃপক্ষরা চিকিৎসার জন্য পাগলী ও নবজাতক শিশু কন্যাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বাদাঘাট বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার বলেন, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। সমাজে আজ 'পাগলী'রাও নিরাপদ না। 'পাগলী'র সাথে এমন জঘন্য কাজ যে করেছে তার শাস্তি দাবি করেন তিনি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানর্জী বলেন, ওই 'পাগলী'র নবজাতক কন্যা সন্তানের বাবার পরিচয় বের করতে পুলিশকে নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, চিকিৎসাসেবার পর মা ও নবজাতক শিশু ভাল আছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, ওই 'পাগলী' আর নবজাতক শিশু কন্যার দেখা শোনা করার জন্য বাদাঘাট বাজারের পাশে এক নারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নবজাতক শিশুর পিতৃপরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত করছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম