হবিগঞ্জের বাহুবলে চোর দাবি করে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ফয়সাল মিয়াকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে নির্যাতন করার ভিডিও রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তরুণীর স্বজনেরা এমনটা করেছেন। পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কলেজছাত্রকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্যাতিত ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার হাসেরগাঁও গ্রামের আহসান উল্ল্যার ছেলে। তিনি বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স (গণিত বিভাগ) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও কোরআনের হাফেজ। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নির্যাতিত কলেজ ছাত্রের মা রাবিয়া খাতুন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী জাহানারা আক্তার লিপিকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। এরপ্রেক্ষিতে পুলিশ দ্বিমুড়া গ্রামের মূল অভিযুক্ত সালাউদ্দিন (৫২) ও মঈন উদ্দিন (৪০) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
বাহুবল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মা-মেয়েসহ অন্য আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ফয়সালের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলায়। বাহুবল উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার রাতে ওই তরুণী মুঠোফোনে ফয়সালকে ডেকে তাদের বাড়িতে নেন। এরপর তার আত্মীয়স্বজন ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফয়সালকে নির্যাতন করেন। পরে তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে বাহুবল থানায় খবর দিয়ে জানানো হয় যে তারা চোর ধরেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে এটি চুরির নয়, প্রেম সংক্রান্ত ঘটনা। পরে পুলিশ ফয়সালের পরিবারকে খবর দিয়ে তাকে তাদের কাছে হস্তান্তর করে। স্বজনেরা তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রবিবার তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন