সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ সড়কের কালর্ভাট দুই বছর ধরে অচল। ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। সরে গেছে দু’পাশের মাটিও। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বেকায়দায় পড়েছেন এ পথে চলাচলকারী স্কুল শিক্ষার্থীসহ সহস্র মানুষ। কালর্ভাটের অভাবে দীর্ঘ সময় এ রাস্তা অকেজো থাকলেও ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।
সরেজমিন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামে গিয়ে দেখা য়ায়, কাদিপুর থেকে কড়ইশাইল হাওরে মধ্য দিয়ে ইলামের গাঁও গ্রামের উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত গেছে কাঁচা এ রাস্তা। ভেঙে পড়ে আছে মধ্যখানেই থাকা কালভার্ট। খুলে পড়েছে আছে ইট। দু’পাশে মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় খাদ। বর্তমানে পায়ে হেঁটে এ পথে চলাচলও দুস্কর।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর পূর্বে কাদিপুর, লামারচক, উপরের চক, আজিদ নগর ও দশদল গ্রামের শিক্ষার্থীদের ইলামের গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াত সুধিবার্থে বিকল্প এ রাস্তাটি তৈরি করা হয়। পরে ইলামের গাঁও, পুরানগাঁও, কৈলানপুর, আনরপুর, বিশঘর, দশপাইকা ও চানপুরসহ বেশ ক’টি গ্রামের মানুষের জন্যে, কাদিপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেয়ার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে ওঠে গ্রামীণ এ রাস্তা। এলাকার শিক্ষার্থী, রোগী, বয়োবৃদ্ধ ছাড়াও স্থানীয় কৃষকরা প্রতিদিন ক্ষেত-খামারে যাতায়াত করেন এ পথে। প্রায় দুই বছর পূর্বে রাস্তার মাধ্যখানের কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে রাস্তাটি।
দশদল গ্রামের কৃষক মর্তুজ আলী (৭৫) বলেন, অকেজো এ সড়কের খবর রাখে না কেউ। আমরা অনেকবার সংস্কারের দাবি তুলেছি। কোন ফল পাইনি। জনস্বার্থে এ কালবার্ট দ্রুত নির্মাণ জরুরি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, শুনেছি এমপি (সিলেট-২) সাহেব রাস্তা পরিদর্শন করে গেছেন। তাই বর্তমানে আমরা প্রকল্প গ্রহণ করছি না। তিনি হয়তো ব্যবস্থা নিবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা