সিলেটের বিশ্বনাথে হাওরে পানি সেচকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছরকুম আলী দয়াল (৭০) নামে এক বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের মৃত আছকর মামনের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের টিলাপাড়া গ্রামের সামনের চাউলধনী হাওরে চৈতননগর গ্রামের কৃষক আহমদ আলী ও টিলাপাড়া গ্রামের দিলোয়ার পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তবে ছরকুম আলী দয়ালের পরিবার অভিযোগ করেছে, হাওরের ইজারাদার সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দিলোয়ারসহ তার লোকজনের মারধরে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। আর পুলিশ জানিয়েছে, তার (দয়াল) শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সেখান থেকে দিলোয়ার পক্ষের ৩ জনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন- টিলাপাড়া গ্রামের তাইজ আলীর ছেলে আসাম উদ্দিন (২৬), মৃত মাহফুজ আলীর ছেলে হাফেজ সায়েদ আহমদ (২০) ও দশপাইকা গ্রামের মছদ্দর আলীর ছেলে হুশিয়ার আলী।
আটক আসাম উদ্দিন গুরুতর আহত থাকায় পুলিশি হেফাজতে তাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছরকুম আলী দয়ালের ভাতিজা আবদুল করিম বলেন, ‘পানি সেচ করতে চাউলধনী হাওরে গিয়েছিলেন আমার চাচা ছরকুম আলী দয়াল। সেখানে হাওরের ইজারাদার সাইফুলের নেতৃত্বে তার লোকজন চাচার উপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে হাওরের ইজারাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যে স্থানে পানি সেচ নিয়ে মারামারি হয়েছে, সেই স্থানের ইজারা অংশীদার টিলাপাড়া গ্রামের দিলোয়ার। শুনেছি যে স্থানে মারামারি হয়েছে, সে স্থানে ছরকুম আলী দয়াল দাদা ছিলেন না কিংবা তিনি সংঘর্ষে মারা যাননি।’
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের ওসি (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘ছরকুম আলী দয়ালের লাশ সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। হাসপাতালে থাকা পুলিশ প্রতিনিধির বরাতে তিনি জানান, মৃতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই বলে জেনেছি। তবে, সুরতহালের পর বিষয়টি পরিষ্কার বলা যাবে।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ