৪ মে, ২০২১ ১৫:৫২

চারদিনেও গ্রেফতার হয়নি স্কুলছাত্রের খুনি

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

চারদিনেও গ্রেফতার হয়নি স্কুলছাত্রের খুনি

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যাকাণ্ডের চারদিনেও অভিযুক্ত খুনি সাইফুল ওরফে লন্ডনি সাইফুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকে বোকা বানিয়ে গাঁ ঢাকা দেন তিনি। এরপর চারদিন হন্য হয়ে ঘুরেও তার সন্ধান পায়নি তারা। তবে অভিযুক্ত সাইফুল যেন বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারে, এজন্য ইতিমধ্যে তার দুটি পাসপোর্ট জব্দ করেছে পুলিশ।

গত শনিবার উপজেলার চৈতননগর গ্রামের সড়কে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সাইফুল ও নজির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে স্কুলছাত্র সুমেল নিহত হন। সুমেল একই গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে সাইফুলকে প্রধান অভিযুক্ত করে সোমবার রাতে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার সবচেয়ে বড় জলমহাল ‘চাউলধনী হাওর’ ইজারা নিয়ে আলোচনায় আসেন উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের সাইফুল আলম। হাওর ইস্যু নিয়ে জন্ম দেন একাধিক আলোচিত ঘটনার। সুবিধাভোগী প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম চৈতননগরে বিস্তার করেন একক আধিপত্য। গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। সবশেষ গত শনিবার বিকেলে গ্রামের সড়েক মাটিকাটা নিয়ে সাইফুল আলম ও নজির উদ্দিন পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি একটি সড়কে নিজের গোত্রের লোকজন নিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন সাইফুল। সড়কের পাশে গ্রামের নজির মিয়ার ধানী জমি থেকে তারা মাটি কাটতে গেলে আপত্তি করেন তিনি। এ নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নিজের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাইফুল গুলি ছোড়েন। এসময় মাটিতে লটিয়ে পড়েন প্রতিপক্ষের কয়েকজন। এদের মধ্যে মারা যায় স্কুলছাত্র সুমেল।

এ বিষয়ে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ শামীম মূসা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে সাইফুলের গুলি করার বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফুলকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর