সম্প্রতি দফায় দফায় হওয়া ভূমিকম্পের কারণ উদঘাটনে সিলেট ঘুরে গেছেন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত জাতীয় কমিটির সদস্যরা। রবিবার (১৩ জুন) কমিটির সদস্যরা গোলাপগঞ্জস্থ কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র, আবহাওয়া অফিস, কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও ভূমিকম্পে ফাটল ধরা স্কুলের একটি ভবনসহ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শন শেষে বিশেষজ্ঞরা দফায় দফায় হওয়া ভূমিকম্প প্রাকৃতিক এবং এর সাথে তেল-গ্যাস উত্তোলনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবীদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।
দফায় দফায় মৃদু ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই অভিযোগ তুলেছিলেন, ভূতাত্ত্বিক জরিপের জন্য ভূগর্ভে শেভরণ মাইন বিস্ফোরণ ঘটানোর কারণে এরকম কম্পন হয়েছে। যদিও আগেই বিবৃতি দিয়ে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে শেভরণ।
সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, রবিবার সিলেটে আসা পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল সকালে গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন করেন। এরপর তারা সিলেট আবহাওয়া অফিসে এসে ভূমিকম্পকালীন সময়ের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে তারা সর্বশেষ ৭ জুন হওয়া ভূমিকম্পে ফাটল ধরা বন্দরবাজারস্থ রাজা জিসি হাই স্কুলের ভবনটিও পরিদর্শন করেন। এরপর ঢাকার উদ্দ্যেশে রওয়ানা দেন জাতীয় কমিটির এই বিশেষজ্ঞ দল।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ও ৩০ মে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেটে পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সর্বশেষ ৭ জুন এক মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৭ জুনের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ডাউকি ফল্ট থেকে অনেক দূরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কাদিপুর গ্রামে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত