সিলেটে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি এর উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর চেয়ে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন প্রায় দ্বিগুণ। নানা পদক্ষেপের পরও করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকানো যাচ্ছে না।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের হাসান ফাতেমাপুর গ্রামে করোনা উপসর্গে স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের হাসান ফাতেমাপুর গ্রামের ছামির আলী (৭০) ও তার পরিবারের লোকজন গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা না করে স্থানীয় ওষধের দোকান থেকে ওষধ সেবন করছিলেন তারা। করোনা উপসর্গের বিষয়টি গোপন রেখে জ্বর নিয়েই সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তারা টিকাও নেন।
গেল মঙ্গলবার দুপুরে করোনা উপসর্গে মারা যান ছামির আলী। বিকেল সাড়ে ৫ টায় তার জানাজা নামাজের সময় ঠিক করা হয়। জানাজার প্রস্তুতি চলাকালে বিকেল ৫টায় মারা যান স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬৪)। বিকেলে গ্রামের মসজিদে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ছামির আলীকে দাফন করা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে বাদ এশা জানাজা নামাজ শেষে আনোয়ারা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়। মারা যাওয়া দম্পতির চার ছেলে ও দুই মেয়ে। তাদের ৩ ছেলে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। বাড়িতে থাকা অন্য সদস্যরাও করোনা উপসর্গে ভুগছেন।
শুধু জগন্নাথপুর নয়, সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই অবস্থা নগরীতেও। মানুষের মধ্যে অসচেতনতার কারণেই এরকম ঘটছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
জ্বর, কাশি, সর্দি, শরীর ব্যাথা এসব করোনার উপসর্গ। এসব দেখা দেয়ার পর বেশিরভাগ লোকজন ফার্মেসি থেকে ওষধ কিনে খান। অবস্থার অবনতি হলে তখন আর হাসপাতালে নেয়ার সুযোগ হয় না। তাই করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে বসে না থেকে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন