২১ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৪৫

ছাত্রলীগকর্মী হাবিব হত্যা, অধরাই থেকে গেল খুনি

খালাস পেলেন ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ছাত্রলীগকর্মী হাবিব হত্যা, অধরাই থেকে গেল খুনি

ছাত্রলীগকর্মী হাবিবুর রহমান হাবিব।

২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি। দিন-দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মূল ফটকের সামনে হামলার শিকার হয়েছিলেন ছাত্রলীগকর্মী হাবিবুর রহমান হাবিব। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ওই রাতেই মারা যান তিনি। খুনের ঘটনায় হাবিবের ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে খুন হন হাবিব।

প্রায় পাঁচ বছর পর বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগকর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুমিনুন নেসা তাদের মামলা থেকে খালাস প্রদান করেন। ফলে অজানা, অধরাই থেকে যায় কাজী হাবীবের খুনি।

খালাসপ্রাপ্ত আসাসিরা হলেন-ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ইলিয়াছ আহমদ পুনম, ইমরান খান, সুবায়ের আহমদ সুহেল, ময়নুল ইসলাম রুমেল, তুহিন আহমদ, নাহিদ হাসান, আওয়াল আহমদ সোহান, আশিক, সায়মন ও নয়ন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর জুবায়ের বক্ত জানান, ‘মামলায় ১১ জন আসামি ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত খালাস প্রদান করেছেন। হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আটজন আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক ছিলেন।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফটকে কাজী হাবিবুর রহমানের ওপর হামলা হয়। তার ডান পা ও হাতে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ওই দিন রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাবিব ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামের কাজী সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হাবিব। ইউনিভার্সিটির পাশে কানিশাইল এলাকার একটি মেসে থাকতেন তিনি। এ খুনের ঘটনায় হাবিবের ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। খুনের ঘটনার পর এদের সবাইকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর