মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি বিরল প্রজাতীর কালো বক উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার হাইল হাওর থেকে বকটি উদ্ধার করা হয়। বকটি হাইল হাওরে মাছের বড়শিতে আটকা পড়েছে। খবর পেয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশেনের লোকজন গিয়ে বকটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। উদ্ধার করা বকটি বিকেলে বন বিভাগের সহযোগিতায় বাইক্কাবিলে ছেয়ে দেয়া হয়।
পাখি বিষাদররা জানান, কালো বক আমাদের দেশের বিরল আবাসিক পাখি। অঞ্চল ভেদে চরখুচি নামেও পরিচিত। এরা আরডিডি পরিবার ভুক্ত। এদের ইংরেজী ব্লাক বির্টান। আর বৈজ্ঞানীক নাম ডুপেটর ফ্ল্যাভিকলিপ। এরা লম্বার ৫৮ সেমি.। মাখা ও ঘাড় বেয়ে কালো পালক নেমে এসে সারা পিঠে ছড়িয়েছে। গলা ও ঘাড়ের রং কমলা। বুকে ও গলায় খাড়া খাড়া কালচে রংয়ের টান রয়েছে। ঠোঁট হলদে-ধুসর। পা কালচে। এরা মাছ, ঘাসফড়িং ও ব্যাঙ খেয়ে থাকে। প্রজজন কালে নিচু গাছে বা ঝোপঝাড়ে শুতনো ডালপালা দিয়ে বাসা করে। ডিম দেয় চারটি। ডিম ফোটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে ১৮ থেকে ২২ দিন।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, তিনি এই প্রথম কালো বক দেখেছেন।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইনাম আল হক বলেন, সংখ্যায় ভাল থাকলেও এদের সচারাচর দেখা যায় না। আর আমাদের দেশে এমনিতেই এদের সংখ্যা কম। এরা পানি থেকে এক ফুট উপরে গাছে বসে থাকে। অন্য বকের মতো এরা পানিতে নেমে খিার করে না। এরা গাছে বসেই শিকার করে নেয়। দিনে দিনে এদের আবাস স্থল কমে যাওয়ায় এরা সংখ্যায় কমে যাচ্ছে। কালো বক পানির উপরে আন্ধকারে বসে থাকে। এরা নড়ে না। একেবারেই লুকিয়ে থাকে। আজ ধরা পরায় জানা গেলো যে বাইক্কা বিলেও এরা আছে। তবে বড়শিতে ধরা পড়া খবই দুঃখজনক। এদের টিকিয়ে রাখতে হলে হাওরে বড়শি বা জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন