চুরির ধরন পাল্টানোর পাশাপাশি সময়ও পাল্টেছে গরু চোরেরা। রাতের চেয়ে এখন দিনদুপুরেই উধাও হচ্ছে একাধিক গরু। চোরচক্র অভিনব কায়দায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মিনি পিকআপে করে গরু নিয়ে চম্পট দিচ্ছে চোখের পলকেই। চোরদের ভয়ে রাত-দিন আতংঙ্কে কাটছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকদের।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি দিনের বেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উধাও হচ্ছে গরু-ছাগল। সকালে মাঠে গরু-ছাগল বেঁধে রেখে এসে, পরে দুপুরের দিকে গিয়ে আর তা পাচ্ছেন না কৃষকরা। বিশেষ করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই গরু-ছাগল চুরি হচ্ছে বেশি। ভোর হলেই সুবিধা মতো যানবাহন নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে সংঘবদ্ধ একাধিক চোরচক্র। তারা কৃষকদের নজরদারি করে, সুযোগ বুঝে ঝটপট গবাদি পশু নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তাজমহরম গ্রামের কৃষক নছির আলীর দুটি ও হিমিদপুর গ্রামের আমীর আলীর একটি গরু নিয়ে যায় চোরেরা। যার বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকা। গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে কৃষকদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধানী জমিতে থাকা এ গরুগুলি চুরি হয়। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ওই সময়ে সন্দেহজনক ভাবে একই স্থানে ঘুরাফেরা করছে একটি প্রাইভেট কার। এরপরেই উধাও হয় গরু।
কৃষক আমীর আলী জানান, গরু চোরদের কারণে রাত-দিন আতঙ্কে কাটছে আমাদের। আমাদের গরুগুলো চুরির দুই সপ্তাহ পূর্বেও চুরি সংঘটিত হয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয় গবাদি পশু। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। দরিদ্র নছির আলী বলেন, আমার সম্বল দুটি গরু চুরি হওয়ায় আমার পরিবার দিশেহারা।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, দিনে-দুপুরে চুরি সংঘটিত হওয়ার খবর আমাদের কেউ অবগত করেনি। খোঁজ-খবর নিয়ে এ বিষয়ে প্রায়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল