সিলেটে মানসিক রোগের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এমন অভিযোগে গত রবিবার রাতে ওই চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই তরুণীর অভিযোগ মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ওই চিকিৎসকের সাথে। এরপর ওই চিকিৎসক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. রামেন্দ্র কুমার সিংহ (আর কে এস রয়েল) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক ও স্নায়ু রোগ বিভাগের প্রধান।
মামলার এজহারে ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সাল থেকে তিনি ওই চিকিৎসকের তত্তাবধানে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন। এক পর্যায়ে চিকিৎসকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সাল থেকে ডা. আর কে এস রয়েল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। গত ৪ অক্টোবর ওই তরুণী সিলেট মনরোগ হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে ডা. আর কে এস রয়েল তার সাথে জোরপূর্বক কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। একপর্যায়ে পরীক্ষা করে জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
এদিকে, গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী ডা. আর কে এস রয়েলের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ডা. আর কে এস রয়েলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণী ডা. আর কে এস রয়েলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় চিকিৎসককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম