শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনার পর সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও উৎসবে মেতেছিলেন সাধারণ জনতা। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা সিলেটের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়িসহ সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালায়। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সিলেটের সবকটি থানা পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে। ঘটনার পর গত ৬ আগস্ট থেকে থানার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল আনসার সদস্যরা। ৬ দিন পর সোমবার থেকে ফের থানায় ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ৬ থানায় পুলিশ সদস্যরা ফিরতে শুরু করেন। ফলে শুরু হয় সেবা কার্যক্রমও। ইতোমধ্যে এসএমপির চার পুলিশ কর্মকর্তার কর্মস্থলও বদল করা হয়েছে।
কতোয়ালি থানার নতুন ওসি মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, ‘আমাদের থানায় ৭৫ জনের মতো স্টাফ আছেন। এখন পর্যন্ত ২০/২৫ জনের মতো কাজে ফিরেছেন। বাকিরাও দ্রুত কাজে যোগ দিবেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজকে অনেকে আসতে পারেননি।’ তিনি জানান, গতকাল সোমবার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। গত ৬ দিনের মধ্যে এই প্রথম একটি জিডি হয়েছে। এই জিডি দিয়ে নতুন করে কতোয়ালী থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, সিলেট নগরের সব থানার কার্যক্রমই শুরু হয়েছে। সেবাগ্রহীতারাও আসছেন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া সিলেট পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নান বলেন- ‘আমাদের কার্যালয়ে যেভাবে ধ্বংসযজজ্ঞ চালানো হয়েছে- মেরামত করে সবকিছু ঠিক করতে একটু সময় লাগবে। ইতোমধ্যে মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল