বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেছেন, ২০২০ সালে শুরু হওয়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প প্রথম পর্যায়ের কাজ এখন পর্যন্ত সাড়ে ২২ ভাগ শেষ হয়েছে। এটি আশাব্যঞ্জক সত্যি। তবে ছাত্র-জনতা আমাদের একটি নতুন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। আশা করছি- এখন আমরা সবাই মিলে অনেক কিছু করতে পারবো, দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা শুরু করছি। এর মধ্যে একটি ওসমানী বিমানবন্দরের কাজ। শুরুর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ রয়েছে আমাদের প্রতি। আগে কী হয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না, তবে এবার এই কাজের জবাবদিহিতা থাকবে।
শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতিবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া আরও বলেন, এটাও ঠিক যে, বিভিন্ন জটিলতায় ওসমানী বিমানবন্দরে সম্প্রসারণের কাজ আটকে ছিল। কিছু জমি এখনো আমাদের হাতে আসেনি, তবে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এছাড়া ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিছু ইনডিফারেন্স ছিল, ইতোমধ্যে তা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। উন্নয়ন কাজ শেষ হয়ে গেলে উন্নত দেশগুলোর মতো একটি অত্যাধুনিক এয়ারপোর্টে পরিণত হবে ওসমানী বিমানবন্দর। এখন এ এয়ারপোর্টে বছরে মানুষ যাতায়াতের ক্ষমতা ৬ লাখ, সম্প্রাসারণ কাজ শেষে সে সংখ্যা দাঁড়াবে ২০ লাখে। বর্তমানে এপ্রোচের কার্গো হেন্ডেলিং ক্ষমতা বছরে ৪০ হাজার টন, পরে হবে ১ লাখ টন। আমরা জানি- সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত, সম্প্রসারণ শেষে বিভিন্ন দেশে থাকা সিলেটি প্রবাসীরাসহ এ বিমানবন্দরে আসা সবাই পাবেন একটি অত্যাধুনিক এয়ারপোর্টের সকল সুবিধা।
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় রয়েছে- সুপরিসর বিমানের পার্কিং সুবিধা বৃদ্ধি, প্যাসেঞ্জার হ্যান্ডলিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন, কার্গো ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, পার্কিং এপ্রোন ও ট্যাক্সিওয়েসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ২১৬ কোটি টাকা। তবে তা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ওসমানী বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ তদারকির জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, সকল অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধি নিয়ে এই কমিট গঠন করা হবে। যাতে কোনো ডিসট্যান্স বা গ্যাপ তৈরি হলে তারা দ্রুত সে তথ্য আমার কাছে পৌঁছায় সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছায়। পরে তা ত্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসণ করা হবে। এছাড়া সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের একটি টিম আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তারাও আমাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীতেও করবেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
