বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের কম্পাউন্ড থেকে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ জাটকা লুট হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক আলী হাসান।
তিনি জানান, কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী কিংস পরিবহনের একটি বাসে জাটকা পাচার হওয়ার তথ্য জানতে পারেন। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে নগরীর সিএন্ডবি রোড মৎস্য দপ্তরের সামনে অবস্থান নেওয়া হয়। বাসটি ওই এলাকা অতিক্রমকালে ১৬টি কার্টুনে ভর্তি জাটকা মাছ উদ্ধার করে মৎস্য অফিসে নিয়ে আসেন।
পরে ওই জাটকা বিতরণের জন্য নগরীর ৩০টির মতো এতিমখানা, মাদ্রাসা ও শিশু সদনকে খবর দেওয়া হয়। একটি কার্টুনের মাছ ১৫টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণের পর কয়েকশত নারী পুরুষ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে। তারা মব সৃষ্টি করে ১৫টি কার্টুন ভর্তি জাটকা লুট করেছে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্য করে নিবৃত্ত করতে পারেনি। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে দেখা গেছে, কয়েকশ নারী, শিশু, পুরুষরা যে যেভাবে পারছে ব্যাগ ভর্তি করে জাটকা নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, নিয়মিত কুয়াকাটার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে বিপুল পরিমাণ জাটকা ঢাকায় পাচার করা হয়। কয়েকজন ব্যবসায়ী জাটকা ক্রয় ও পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। তারা প্রত্যেক দপ্তরকে নির্দিষ্টহারে টাকা দিয়ে যাত্রীবাহী বাসে জাটকা পাচার করে। শুক্রবার ধরা পড়া ওই মাছের দাম ৫ লাখ টাকা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী আল আমিন জানান, মৎস্য অফিসের গেট বন্ধ। ভেতরে মৎস্য অফিসের লোকজন, মাদ্রাসার লোকজন, আনসার সদস্য ও কয়েকজন সাংবাদিক ছিল। তারা মাছ নেওয়ার সময় গেট খুলে দেওয়া হয়। তখন গরিব মানুষরা গিয়ে হুড়োহুড়ি করে মাছ নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমি অভিযান পরিচালনা করতে নিষেধ করেছিলাম। তবুও অফিসের সামনে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা অভিযান করেছেন। সেখানে কিছু মাছ লুট হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ছিল, কী পরিমাণ লুট হয়েছে জানি না।
বিডি প্রতিদিনি/এমআই