বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতায় থাকতে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। জনক্ষোভে তারা ভেসে গেছে। কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। যে কারণে বিভিন্ন জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণের চেষ্টা চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় যে গণঐক্য হয়েছে সেটি ধরে রাখতে হবে। গণঐক্যে ফাঁটল ধরলে ফাঁটল দিয়ে স্বৈরাচার প্রবেশের সুযোগ পাবে।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির পৃথক সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগরের বারুতখানায় একটি পার্টি সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংগঠনিক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন ও মিফতাহ সিদ্দিকী, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সাবেক আহ্বায়ক আবদুল কাইয়ূম জালালী পংকী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
সভায় ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকার সর্বক্ষেত্রে সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হলেও এখন লজ্জায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। নিজের ও দলের কৃতকর্মের কারনে ল²ণ সেনের মতো হাসিনাকে দলবলসহ পালিয়ে যেতে হয়েছে। পতিত স্বৈরাচারের পূর্বপুরুষেরাও ফ্যাসিবাদী রূপ ধারণ করেছিল। তারা সব সময় মানুষের অধিকার হরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারীদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, তারপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তারা রাজনীতি করতে পারবে কি না। বিএনপি যে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে সেটি জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এই ৩১ দফাই দেশ ও জাতিকে প্রকৃত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র উপভোগের সুযোগ করে দেবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত