চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তার পর দুনিয়াতে রোগীদের আশা ভরসার একমাত্র ঠিকানা চিকিৎসকরা। তাই তাদের আচার-আচরণ, ব্যবহার, দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যনিষ্ঠা অনেক বেশি আন্তরিক ও গ্রহণীয় হওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার যদি আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়বে। চসিকের স্বাস্থ্য সেবার প্রতিও নগরবাসীর আস্থা ও সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে নগরভবনে কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চসিকের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী স্বাস্থ্য বিভাগের নানা দিক পাওয়ার উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, চসিকের চিকিৎসক ডা. আশিষ মুখার্জি, ডা. নাসিম ভুঁইয়া, ডা. আর পি আসিফ খান, ডা. প্রীতি বড়–য়া, ডা. তৌহিদুল আনোয়ার খান, ডা. তপন চক্রবর্তী, ডা. সুশান্ত বড়–য়া প্রমুখ।
সমন্বয় সভায় বলা হয়, ‘চসিক ৪টি মাতৃসদন হাসপাতাল, ১টি জেনারেল হাসপাতাল, ৫১টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩৩৫টি ইপিআই কেন্দ্র, ১টি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস, ১টি জুনিয়র মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউট, ১২টি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ১টি হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতাল, ১টি কবরস্থান, ২টি শ্মশান পরিচালনা করে। স্বাস্থ্য বিভাগে ১২৪ জন ডাক্তার, ২৯জন হোমিও ডাক্তার, ১০৭ জন মিডওয়াইফ ও নার্স, ৫৫ জন ফার্মাসিস্ট ও প্যারামেডিক, ১১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য সহকারি, ১১জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৪৫ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য পেশায় ৫৩৪ জনসহ এক হাজার ৪৭ জন জনবল আছেন।’
সভায় মেয়র আরো বলেন, ‘শুধু স্বাস্থ্য খাতে বছরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষা খাতেও ৫৩ কোটি বছরে ভর্তূকি দিতে হয়। চসিক বছরে ১০৭ কোটি টাকা প্রশাসনিক ব্যয় বহন করছে। বিনিময়ে সরকারি খাত বাদে নগরবাসীর কাছ থেকে বছরে সর্বোচ্চ ৪৭ কোটি টাকা পৌরকর আদায় হয়ে থাকে।’
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান