রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, ‘৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালু করা হবে। তখন মাত্র আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতয়াত সম্ভব হবে। বর্তমানে এ প্রকল্পের সমীক্ষা চলছে।’
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ২৬তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চেম্বারের সভাপতি সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী দিবসে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, এম এ মোতালেব, মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর, ছৈয়দ ছগীর আহমদ, সরওয়ার হাসান জামিল, মো. রকিবুর রহমান টুটুল প্রমুখ।
এ সময় চেম্বার সভাপতি মন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে, চেম্বারের অনুকূলে রেলওয়ের জায়গা থেকে একটি স্থায়ী ভেন্যু বরাদ্দ প্রদান, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পার্শ্ববর্তী ডেবাকে হাতির ঝিলের মতো সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে চেম্বারের অনুকূলে বরাদ্দ, ভেলুয়ার দীঘি সংস্কার, রেলওয়ে কনটেইনার সার্ভিস উন্নত করা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এ সময় মন্ত্রী ডেবার সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্ব চিটাগাং চেম্বারের অনুকূলে রাখার আশ্বাস দেন।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পার্টনার কান্ট্রি থাই প্যাভিলিয়ন, স্টেপ ফুটওয়্যার, গাজী গ্রুপ, অ্যাপেক্স হুসাইন লিমিটেড, রিংগো রুটি মেকার, আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস লিমিটেড, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, আকিজ সিরামিকস লিমিটেড, আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নাভানা ফার্নিচার লিমিটেডকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
রেল মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম ডুয়েল গেজ মাত্র ৭২ কিলোমিটার বাকি আছে যা অচিরেই সম্পন্ন হবে। তাছাড়া কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে কালুরঘাট সেতুর বিকল্প হিসেবে রেল ও সড়ক সেতু এবং চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী হয়ে রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘রেল খাতে সরকার ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই বরাদ্দ দিয়ে বন্ধ ১৪০টি রেলস্টেশন পুনরায় চালু করা, রেললাইন ও রেল সেতু সংস্কারসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন