চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবির বিপরীতে ‘নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অঘোষিত’ গণপরিবহন ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। আজ রবিবার দিনভর সাধারণ মানুষকে অন্তহীন ভোগান্তির মধ্যে সময় পার করতে হয়েছে। ব্যাঘাত ঘটেছে দৈনন্দিন কাজে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নগর ও জেলার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন চলাচল করছে না। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগামী লোকজন।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, কিছু সংখ্যক অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করছে। কিন্তু নগরে কোনো গণপরিবহন এবং জেলা থেকে কোনো গণপরিবহন নগরে প্রবেশ করেনি, নগর থেকেও কোনো গণপরিবহন ছাড়েনি। ফলে পথে পথে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথচারি ও যাত্রীদের। গণপরিবহন সংকটের কারণে নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, ২ নম্বর গেইট, কালুরঘাট, আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট, কাজীরদেউরি, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতু, মোহরা রাস্তার মাথা, অলংকার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। নগরের দূরপাল্লার কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু কিছু যাত্রীকে কাউন্টারের সামনে থেকে ফিরে যেতে দেখা গেছে। তাছাড়া, অনেক জায়গায় কিছু পরিবহন চলাচল করতে দেখলে পরিবহন শ্রমিকরাই তাদের বাধা দিচ্ছেন।
নতুন ব্রিজ এলাকার যাত্রী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পটিয়া থেকে টেরি বাজার প্রতিদিন যাতায়াত করি। কিন্তু গতকাল দীঘ পথটির কিছু হেঁটে, কিছু রিক্সায় করে অনেক কষ্টে কর্মস্থলে এসেছি। সময় এবং অর্থ দুটিই অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি। পুলিশ যেখানে আমাদের নিরাপত্তা দেবে সেখানে, উল্টো আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা সড়কে গাড়ি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছি।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর জেলা থেকে নগরে আসা মানুষদের চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। গতকাল নতুন ব্রিজ থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালি, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার গাড়ি প্রায় ছাড়েনি। ফলে এসব উপজেলার যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। অন্যদিকে, উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার