চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্প সম্পর্কে নগরবাসীকে বিস্তারিত জানানোর আহ্বান জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম। একই সঙ্গে বৃহৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, মেগা প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামবাসী অবশ্যই জলাবদ্ধতার চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পেতে যে বিষয়গুলো একান্ত অপরিহার্য তা চলমান মেগা প্রকল্পে এ মুহূর্তে অনুপস্থিত। সেই ব্যাপারে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম কিছু কারিগরি, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনীয় পরামর্শ রয়েছে। সে সব পরামর্শ কাজে লাগানো গেলে মেগা প্রকল্প থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব। আর এতে সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা যেমন প্রয়োজন তেমনি সকল নাগরিকের সহযোগিতাও একান্ত অপরিহার্য।
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাদের যে পরিকল্পনা তা নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু পরিকল্পনা যেন অবশ্যই বাস্তবায়িত হয়। অনেকে বড় বাজেটের প্রকল্প এনে মানুষকে খুশি করে। অথচ কাজ শেষে বাস্তব অবস্থার উন্নতি হয় না। জলাবদ্ধতা নিরসনের এই মেগাপ্রকল্প বিষয়ে সাধারণ মানুষ কিছুই জানে না। জনগণকে অবশ্যই বিস্তারিত জানাতে হবে। তাছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে তার রক্ষণাবেক্ষণ কিভাবে হবে তা নিশ্চিত করাও জরুরি।’
ফোরামের মহাসচিব স্থপতি জেরিনা হোসেন বলেন, ‘মেগা প্রকল্পের কারিগরি ও প্রাতিষ্ঠানিক সব বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাই। তাছাড়া কি প্রক্রিয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে তাও নগরবাসীর জানা উচিত। না জানলে তো সহযোগিতা করতে পারব না। কি ত্রুটি আছে তাও চিহ্নিত করা যাবে না। তিন বছরে প্রকল্প মেয়াদ শেষেই তো সব শেষ হয়ে গেল না। ড্রেনেজ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। রক্ষণাবেক্ষণ যেন স্থায়ী হয়। সিডিএ আর সিটি কর্পোরেশন দুই মেরুতে। এরা কাজ শেষ করে গেলে ওরা দায়িত্ব না নিলে তো সুফল মিলবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের নেতা অ্যাড. আকতার কবির চৌধুরী, ইতিহাস গবেষক শামসুল হোসাইন, তসলিমা আখতার, প্রকৌশলী এবিএমএ বাসেত, প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেন।
প্রসঙ্গত, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। প্রকল্পের আওতায় খালের মাটি খনন, কাদা অপসারণ, নালা সংস্কার ও নির্মাণসহ বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের মত কাজও সিডিএ করবে।
বিডি প্রতিদিন/৭ আগষ্ট ২০১৮/হিমেল