আগামী বছর ঘোষিত পর্যটনবর্ষে সারাবিশ্ব থেকে ২০ লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপাল। এ লক্ষ্যে ‘ভিজিট নেপাল ২০২০ লাইফটাইম এক্সপিরিয়েন্স’ নামে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাটেলে আগ্রাবাদে ‘নেপাল সেলস মিশন: ২০১৯’শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের নেপাল দূতাবাস এবং ট্যুরিজম বোর্ড অব নেপাল যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নেপালের নয়টি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন প্রতিষ্ঠান ও ট্রাভেল এজেন্সি অংশ নেয়।
অনুষ্ঠাানে জানানো হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০১৮ সালে ১১ লাখ ৭৩ হাজার পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। এই সংখ্যা নেপালে বছরভিত্তিক পর্যটক আগমনের প্রায় দুই শতাংশ। পরের দুই অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাজ্যে।
অনুষ্ঠানে নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব দিল্লি প্রসাদ আচার্য বলেন, আমরা মনে করি নেপালের পর্যটন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ একটি উপযুক্ত দেশ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক নেপাল ভ্রমণে যান। সেজন্য নেপালের ট্যুরিজম সেক্টরের প্রসারে বাংলাদেশকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। আমরা চাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সাথে পর্যটন খাতে বাণিজ্যিক একটি সম্পর্ক তৈরি করতে।
নেপাল টুরিজম বোর্ডের ব্যবস্থাপক গোবিন্দ আলী বলেন, ‘ভিজিট নেপাল ২০২০ লাইফটাইম এক্সপিরিয়েন্স’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চলছে বিশ্বব্যাপী। এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী বছর দুই মিলিয়ন পর্যটক যাতে নেপাল ভ্রমণ করে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে আমাদের প্রত্যাশা বেশি। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের টুরিজম নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও এ ধরনের সভার আয়োজন করা হচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি আবু জাফর বলেন, নেপালে বাংলাদেশের বিমানসংস্থাগুলোই শুধু চলাচল করে, নেপালের বিমানসংস্থা এ দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করছে না। দু'টি দেশের এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করলে পর্যটন খাত আরো সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশের পর্যটকরা নেপালে ভ্রমণ করার পাশাপাশি সে দেশের পর্যটকরাও যাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাতে ভ্রমণ করে। সে ব্যপারে নজর দেওয়ার জন্য নেপাল টুরিজম বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের পর্যটন উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান রানা বাহাদুর খাদকা, ট্যুরিজম বোর্ডের অফিসার রাজীব জাঁ, দীপস ট্যুরস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিপক পৌডেল, নেপাল হলিডে মেকার টুরস এন্ড ট্রাভেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিপক কৈরালা, ল্যান্ডমার্ক হোটেলের ম্যানেজার দিনেশ গিমেরী বক্তব্য রাখেন ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন